এবারের ঈদযাত্রায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট নির্বিঘ্ন রাখতে নেওয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। এজন্য ঘাটে থাকবে মোবাইল কোর্ট, অতিরিক্ত পুলিশ, সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম, যাত্রীদের বিশ্রামের সুবিধা। সূত্র বলছেন, নৌপথে যাত্রীদের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে। সেখানে ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমার, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকতে। সরেজমিনে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়ার সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে তিনটি সচল রয়েছে। একসময়ের ব্যস্ততম ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ থাকলেও বিকল্প হিসেবে ৭ নম্বর ঘাট সচল আছে। টার্মিনাল এলাকা অনেকটাই ফাঁকা। মৌসুমি বাস কাউন্টারের জন্য অনেক বাস মালিক সেখানে আসছেন। লঞ্চঘাটের পন্টুন মেরামত করা হয়েছে। ফেরি ও লঞ্চঘাট অনেকটাই ফাঁকা। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আসন্ন ঈদযাত্রায় ১৭টি ফেরি চলাচল করবে। এর মধ্যে ৯টি রো রো (বড় ফেরি), ৩টি কে টাইপ ও ৫টি ছোট ফেরি। তিনটি ঘাট সচল রয়েছে। ঘাটের পকেট বেশি থাকায় ফেরি লোড-আনলোডে সমস্যা হবে না। এ রুটে ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। ফেরিঘাট এলাকায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। ১৪ মার্চ দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে আজগর ও রাজুকে গ্রেপ্তারের পর ফেরিঘাট এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
তারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামি। একাধিক লঞ্চমাস্টার জানিয়েছেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরির জন্য আলাদা চ্যানেল করা হয়েছে। ভিন্ন দুটি চ্যানেল দিয়ে লঞ্চ ও ফেরি চলাচলে সুবিধা হবে। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, ‘ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে মার্চের প্রথম দিনই কাজ শুরু করেছি। চুরি, ছিনতাই ও মাদক কারবারে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঈদযাত্রায় কোনো চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না। স্বস্তির ঈদযাত্রার ব্যবস্থা করতে পুলিশ ফেরিঘাটে নিরলস কাজ করবে।’