রাত-দিন দীর্ঘলাইনে আলু নিয়ে বগুড়ার হিমাগারগুলোর সামনে অপেক্ষা করছেন কৃষকরা। কয়েক দিন ধরেই ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ঠেঙ্গামারা, শহরের বনানী-মাটিডালি সড়কের জহুরুলপাড়ার উভয় পাশে আলুর বস্তাভর্তি ট্রাক, পিকআপ, ভটভটি ও অটো ভ্যানের দীর্ঘলাইন দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও হিমাগারে আলু রাখতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন তারা। স্লিপ কপি থাকলেও হিমাগার থেকে আলু নিয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে অনেক কৃষকদের। দিন যত যাচ্ছে ভোগান্তি ততই বেড়ে চলেছে।
জানা যায়, আলুর ভরা মৌসুমে দাম না পেয়ে অনেকটাই বিপাকে বগুড়ার আলু চাষিরা। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ চাষিই চলতি বছরে লোকসান পোষাতে হিমাগারে রাখছেন আলু।
আলুর দাম কমে যাওয়ায় তারা উৎপাদনের অর্ধেক খরচও তুলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হিমাগারে রাখার চেষ্টা করছেন। হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি ও দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়েও আলু রাখার বুকিং কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন অনেকে। কৃষকরা বলছেন, এবার শুরুতে আগাম জাতের আলুর দাম কিছুটা বেশি ছিল। তবে এখন দিনে দিনে দাম কমেছে। বর্তমানে ৩৮০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে প্রতি বস্তা আলু রাখার ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে নিয়েছিল হিমাগারগুলো। এ বছর আবারও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এবার কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি কেজি ৮ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এতে ৬৫ কেজির এক বস্তা আলুর ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছেন, গত বছর যে এক বস্তায় ৬৫-৬৬ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা হয়েছিল, তা এবার ৫০ কেজি করে রাখতে হবে। ভাড়া পড়বে ৮ টাকা হিসাবে ৪০০ টাকা। গতকাল বগুড়ার বেশ কয়েকটি হিমাগার ঘুরে দেখা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু রাখতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবহনে ভিড় করছেন কৃষকরা।