পাওয়ার চায়নার সিনিয়র এক্সপার্ট মকবুল হোসেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরের পাঁচ জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় ১১০ কিলোমিটার নদীতে ১ হাজার ৩৩০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হবে। পুরো নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ, নদীর দুই ধারে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজ, ৬৭টি গ্রোয়েন বা স্পার নির্মাণ ও মেরামত কাজ, নদীর দুই ধারে রোড নির্মাণকাজ, ১৭০ দশমিক ৮৭ বর্গকিলোমিটার ভূমি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন কাজ এবং পরিবেশগত ও সামাজিক সুরক্ষা কাজ করা হবে। খননকৃত মাটি ভরাট করে নদীর তীরবর্তী ভূমি পুনরুদ্ধার করে ওই জমির ওপর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শুষ্ক মৌসুমে সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য বর্ষাকালে শাখা নদীসহ ব্যারাজের উজানে তিস্তা নদীতে প্রয়োজনীয় পানি সংরক্ষণ করা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি সংরক্ষণ করে প্রকল্প এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নদীপাড়ের ১১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। গতকাল রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে গণশুনানিতে এ তথ্য
জানানো হয়।রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে সভায় প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে পাওয়ার চায়নার সিনিয়র এক্সপার্ট মকবুল হোসেন এসব কথা বলেন। তিস্তা নদীবেষ্টিত উত্তরের পাঁচ জেলা অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা পাওয়ার চায়না।