নাম মালেকা খাতুন সারা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নাম ভাঙিয়ে ভুয়া পরিচয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে শুরু করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ লুফে নিয়েছেন তিনি। এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়ের ক্ষেত্রেও তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন দেশের গণমাধ্যমের কাছে। জুলাই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে বক্তব্য কিংবা সাক্ষাৎকারের সময় নিজেকে পরিচয় দিতেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী হিসেবে। আবার কখনো কখনো সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী বলেও দাবি করেছেন তিনি। ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্নজনের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। জানা যায়, ২০২১ সালে মালেকা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি নিজেকে ২০২১-২২ সেশনের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতেন। কিন্তু লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের নামে কোনো শিক্ষার্থী তাদের নেই। লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম এরকম আবার শুনলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, সারা আমাদের বিভাগে ভর্তি হয়েছিল কি না আমাদের বিভাগের কেউ জানে না।
জানা গেছে, আন্দোলনের সময় এই সারা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয়ে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির মুখপাত্র হন। পরে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী পরিচয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।
শাবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লা আল গালিব বলেন, আন্দোলনের সময় আমরা তার প্রকৃত পরিচয় জানতাম না। কারণ আন্দোলনে সব প্রতিষ্ঠান এককাতারে ছিল। পরে জানতে পেরেছি সে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী না।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মালেকা বলেন, শাবিপ্রবিতে আমি ভর্তি হয়েছিলাম তবে সেটা আবার বাতিল করেছি। বর্তমানে আমার কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নেই সেজন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে শাবিপ্রবি দেখানো হয়েছে। শাবিপ্রবিতে কোন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।