পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বল হাতে কীর্তি গড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চার ওভারে মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই রেকর্ড আও কারো নেই। তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী। একইসাথে পাকিস্তানের ব্যাটারদের ও দেশটির প্রধান কোচ মাইক হেসনের সমালোচনা করেছেন তিনি।
মিরপুরের স্লো উইকেটে শুরু থেকেই বেশ ভয়ঙ্কর ছিলেন মুস্তাফিজ। তার কাটার ডেলিভারিগুলো একেবারেই খেলতে পারছিলেন না পাকিস্তানের ব্যাটাররা। তার ক্রস সিমড লেংথ ডেলিভারিতে থার্ড ম্যান সীমানায় ক্যাচ তুলে দেন হাসান নাওয়াজ।
এরপর খুশদিল শাহকেও ফেরান মুস্তাফিজ। তার স্লোয়ারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়েন তিনি। মুস্তাফিজের ডেলিভারি খেলার কোনো উপায়ই যেন জানা ছিল না পাকিস্তানের ব্যাটারদের।
আর তাই পাক ব্যাটারদের সমালোচনা করে বাসিত বলেন, মুস্তাফিজ চার ওভারে ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেছে। দলের কেউ জানেই না তাকে কীভাবে খেলতে হবে। আপনার দলে আট জন ব্যাটার। কিন্তু সবার ব্যাটিং স্টাইল একই।
পাকিস্তান মাত্র ১১০ রানে অল আউট হলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি সাত উইকেটে জিতেছে টাইগাররা। ৩৯ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন তাওহীদ হৃদয়।
এদের দৃষ্টান্ত দিয়ে বাসিত আরো বলেন, পারভেজ ইমন ৫৬ করেছে, টপ ক্লাস। তাওহীদ হৃদয় ৩৬ করেছে, টপ ক্লাস। যেভাবে টেস্টে আমাদের হোয়াইটওয়াশ করে গিয়েছিল, সেভাবেই আমাদের হারিয়েছে প্রথম ম্যাচে। গিল, জয়সাওয়াল, অভিষেক, ট্রাভিস হেড, সুর্যবংশীরা যেভাবে ছক্কা হাঁকায়, আমাদের ব্যাটাররা ভেবেছিল এভাবেই একের পর এক ছক্কা হাঁকাবে। আরে আগে পিচটা অন্তত দেখো। এটা কি ছক্কা হাঁকানোর পিচ?
পাকিস্তানের নতুন কোচ মাইক হেসনের পরিকল্পনার সমালোচনাও করেন বাসিত। তিনি বলেন. মনে হচ্ছে খেলা গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হচ্ছে। পাকিস্তান দলে যিনিই প্রধান কোচ হয়ে আসে, তিনি দলের সাহায্যকারী না হয়ে প্রফেসর হয়ে যান! মনে করেন, শুধু তিনি যা বলছেন, তাই ঠিক। বাকি সবাই ভুল। পাকিস্তান দলের কারোরি পিচ রিডিং নিয়ে ধারণা নেই।
বিডি প্রতিদিন/কেএ