রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় এক ছাত্রদল নেতার চারিত্রিক সনদপদত্র ও প্রশংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে। শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের জন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় একাডেমিক কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং প্রশাসনের কাছে কিছু সুপারিশ করেছে।
সনদ বাতিলকৃত ছাত্রদল নেতা বুলবুল রহমান। তিনি উর্দু বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষার্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে আছেন।
এর আগে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম ও একই বিভাগের অধ্যাপক নাসির উদ্দিনকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মন্তব্য করেন বুলবুল রহমান। তাদের উপাচার্যের অনুগত আখ্যা দেন এবং শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। গত ১১ আগস্ট নিয়োগ সংক্রান্ত সিন্ডিকেট সভা চলাকালীন উপাচার্যের বাসভবনের মূলফটকে তালা লাগিয়ে দেন এ নেতা।
একাডেমিক কমিটির সভার সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ফেসবুকে বুলবুল রহমান নামক পেজে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকে জড়িয়ে বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম ও বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার এবং অসত্য অভিযোগ করে পোস্ট করেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও মানহানিকর। অ্যাকাডেমিক কমিটি মনে করে, বুলবুল রহমানের পোস্টের মাধ্যমে উল্লিখিত দুইজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত মানহানির পাশাপাশি উর্দু বিভাগের সকল শিক্ষকের সম্মানহানি করা হয়েছে। এতে উর্দু বিভাগের শিক্ষকগণ অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত।’
তার বিভিন্ন সময়ের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলা হয়, ‘এসব কার্যক্রমে উর্দু বিভাগের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়। তার এসব শৃঙ্খলাবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয় যে, তিনি একজন দুষ্কৃতকারী। তিনি একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের পদে থাকায় তার ফেসবুক পোস্ট ও হুমকির কারণে উর্দু বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকগণ শিক্ষকগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি তার এসব কর্মকাণ্ডে ও অশালীন ফেসবুক পোস্টের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে ও অসত্য অভিযোগের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
এ ব্যাপারে ছাত্রদল নেতা বুলবুল রহমান বলেন, চারিত্রিক সনদ বাতিলের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে মনগড়া কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত