মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছেন।
তবে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন, যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে হামাসকে ধ্বংস করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকেপূর্ণ সমর্থন দেবে।
হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল যদি এই হুমকি (হামাস) শেষ করতে চায়, তাহলে আমার পূর্ণ সমর্থন পাবে। তবে আমি আশা করি শান্তি চুক্তি হবে। হামাস যদি না মানে, তাহলে কেবল তারাই বাইরে থাকবে।
শান্তি পরিকল্পনার মূল দিকগুলো
উভয় পক্ষ রাজি হলে যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হবে। যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সমন্বয় করে ইসরায়েল ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে। হামাসের হাতে থাকা শেষ বন্দি মুক্তির সঙ্গে সর্বশেষ সেনা প্রত্যাহার হবে। একটি ‘অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ মোতায়েন করা হবে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠিত হবে।
হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র হতে হবে এবং ভবিষ্যৎ সরকারে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না। তবে যারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসে রাজি হবে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে। ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর গাজার সীমান্তে সহায়তা ও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা হবে। ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না; বরং তাদের থাকার ও গাজাকে উন্নত করার সুযোগ দেওয়া হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ অধিবেশনে ট্রাম্প আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে দাবি করেন, সবাই প্রথমবারের মতো বিশেষ কিছুতে রাজি হয়েছে। অন্যদিকে, জাতিসংঘে দেওয়া বক্তৃতায় নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে ‘কাজ শেষ করবেন’ বলে প্রতিশ্রুতি দেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগতভাবে ইসরায়েলপন্থী অবস্থান থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিশেষ করে কাতারে হামাস সদস্যদের ওপর ইসরায়েলি আঘাতের পর। এছাড়া তিনি নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন পশ্চিম তীর দখল না করতে। কারণ, এটা শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলবে। নেতানিয়াহুর জোট সরকারে কট্টর-ডানপন্থী মন্ত্রীরা রয়েছেন, যারা এ ধরনের শান্তি চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল