রাঙামাটিতে নামছে পর্যটকের ঢল। মঙ্গলবার বিকাল থেকে শুরু হয়েছে পর্যটক আগমন। টানা চারদিনের ছুটিকে কাজে লাগাতে পাহাড়মুখী হয়েছে দূর-দূরান্তের দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। তাই মানুষের অরণ্যে পরিণত হয়েছে রাঙামাটি ও বান্দরবান। কারণ খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনার পর সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন। তাই রাঙামাটি শহরে চাপ বেড়েছে পর্যটকদের। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অগণিত পর্যটক আগমনে যেনো তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই কোথাও। অগ্রিম বুকিং রয়েছে আবাসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসগুলো। কোথাও রুম খালি নেই। সড়কে, সড়কে ভ্রমণ পিপাসুদের গাড়ির বহরের ভিড় লেগে আছে।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, একমাস আগে রাঙামাটি পর্যটনের সবগুলো কটেজ ও মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। কারণ দুর্গাপূজার টানা চারদিন ছুটি। তাই বছরের শেষ সময়ে ছুটিকে কাজে লাগাতে কর্ম ব্যস্ত মানুষগুলোর আগমন হচ্ছে পাহাড়ে। তিনি আরও বলেন, আমরা পর্যটকদের বরণ করে নিচ্ছে। তাদের থাকার ব্যবস্থা ও ভ্রমণের সব কিছুই নিশ্চিত করছি।
অন্যদিকে রাঙামাটির শহর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্যে ভরপুর। প্রকৃতির টানে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে হাজার হাজার পর্যটক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক ও কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কাপ্তাই হ্রদ নৌ-ভ্রমণের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছে। আবার কেউ প্রকৃতিকে উজাড় করে দিচ্ছে নিজেকে।
অন্যদিকে ভিন্ন চিত্র রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে। ট্যুরিস্টদের জন্য ভ্রমণের প্রাণ কেন্দ্র বলা হয় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রকে। কিন্তু খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনার পর দুর্গাপূজার ছুটিতে পর্যটকদের বুকিং বাতিল করেছে সাজেক পর্যটন কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে আগে থেকে বুকিং দেওয়া পর্যটকদের মধ্যে।
রাঙামাটি সুফিয়া হোটেলের ব্যবস্থাপক ও রূপসী বাংলা ট্যুরিজমের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটিতে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রচুর। তবে এর চেয়ে আরও বেশি পর্যটক আশা করেছিলাম। কিন্তু খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় অনেক পর্যটক নিজে থেকে বুকিং বাতিল করেছে রাঙামাটির বিভিন্ন হোটেলে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই