ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন। এতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সমর্থন জানিয়েছেন। তবে গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি এখনো। যদিও ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শুনতে পাচ্ছেন এতে রাজি হবে হামাসও!
এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। হামাসকে পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে গাজার নিয়ন্ত্রণ। এরপর গাজায় গঠিত হবে একটি সরকার বা প্রশাসন। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই হবেন এ প্রশাসনের প্রধান!
সোমবার হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে তৈরি এ অন্তর্বর্তী সরকারের নাম হবে 'দ্য বোর্ড অব পিস' বা শান্তি প্রশাসন। যেটির প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
ট্রাম্প জানান, আরব ও ইসরায়েলিদের অনুরোধেই এ দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। তার নেতৃত্বাধীন এ অন্তর্বর্তী সরকারে অন্য বৈশ্বিক নেতারাও থাকবেন। যার মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাম রয়েছে। ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ব্রিটিশ সেনাদের ইরাকে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। এ কারণে তাকে ইরাকের কসাই হিসেবেও অনেকে অভিহিত করে থাকেন।
গাজার নতুন অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাংকের সাথে কাজ করবে। এ ছাড়া তারা ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের বাঁছাই করে পরবর্তীতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্বাধীন একটি সরকার গঠন করবেন। সঙ্গে গাজায় একটি সুশঙ্খল পুলিশ বাহিনী গঠন করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গাজা ও হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ করা এই সরকারের দায়িত্ব থাকবে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল জাজিরা, দ্য হিল, দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/এএম