শিক্ষা কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তোলে মেধাভিত্তিক সমাজ গড়তে চাইলে ছাগলকাণ্ডের মতিউর ও বেনজীরদের সংখ্যা বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
কেন শিক্ষা কমিশন হয়নি তা তদারকির প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেনজীর-মতিউর মেধার দিক থেকে অতুলনীয় ছিল। জিপিএ-৫ তো এখন অনেকে পাচ্ছেন। এমন একটি দেশের হাল ধরতে যাচ্ছে তরুণ সমাজ তা ভুলে গেলে চলবে না বলেও মত প্রকাশ করেন এ উপাচার্য।
মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা কমিশন করা হয়নি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে একটা তদারকি কমিটি করা হয়েছে, যার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষাখাতে জিডিপিতে এবার ১.৫৩ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে ৪ শতাংশ জিডিপি দেওয়া আছে। বাংলাদেশের চারপাশে যত দেশ আছে সব দেশেই ৩ এর উপরে। আমাদের দেশে মাত্র ১.৫৩ শতাংশ। সেই দেশে স্বপ্ন কিভাবে, মানুষ স্বপ্নের মতো বড় হবে কিভাবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১২.৩ শতাংশ। বাংলাদেশে এতগুলো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ৪০ লাখের মতো বেকার। তার মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া অধিকাংশ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয় তাদের অধিকাংশই জিপিএ-৫ পাওয়া।’
লক্ষ্মীপুর সোসাইটি ও আলফা স্টার ফাউন্ডেশনের ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
এ সময় তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণ প্রজন্ম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো ও নেতাদের মধ্যে গুনগত পরিবর্তন দরকার। কি কারণে ১৭ বছর ত্যাগ স্বীকার করলাম? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই ৫ আগস্ট সৃষ্টি হয়েছে। যার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নেছা খন্দকার, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ এইচএম অলি উল্লাহ প্রমুখ।
পরে অতিথিরা জেলার ৫টি উপজেলা থেকে এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পাঁচশ’ শিক্ষার্থীর মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত