যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি (ILR) পেতে এখন থেকে কঠোর শর্ত পূরণ করতে হবে। নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ লিভারপুলে লেবার পার্টির সম্মেলনে এই নীতিমালা ঘোষণার পরিকল্পনা করেছেন।
বর্তমানে পাঁচ বছর বসবাস ও কাজের পর ILR পাওয়া গেলেও নতুন পরিকল্পনায় যোগ হবে আরও কয়েকটি শর্ত: ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সে নিয়মিত অর্থ প্রদান, সরকারি বেনিফিট দাবি না করা, অপরাধমুক্ত থাকা, উচ্চমানের ইংরেজি শেখা এবং কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা।
এই ঘোষণা আসে রিফর্ম পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের বিতর্কিত প্রস্তাবের এক সপ্তাহ পর। তিনি ক্ষমতায় গেলে লাখো বৈধ অভিবাসীকেও দেশ থেকে বিতাড়িত করা এবং ILR পুরোপুরি বাতিল করার ঘোষণা দেন। ফারাজের প্রস্তাবকে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টার্মার ‘বর্ণবাদী’ ও ‘অনৈতিক’ বলে সমালোচনা করলেও, তার সরকারও পরদিনই ILR সংস্কারের ঘোষণা দেয়।
লেবার পার্টি বলছে, এ পদক্ষেপ সরকারের সঙ্গে রিফর্ম পার্টির সুস্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করবে। এর আগে গত মে মাসে প্রকাশিত শ্বেতপত্রে ILR পাওয়ার সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে দশ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে দক্ষতা বা অবদানের ভিত্তিতে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ পাওয়া শাবানা মাহমুদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে ছোট নৌকায় অভিবাসন সংকট। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ভিসা নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং যেসব দেশ অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত নিতে গড়িমসি করছে, সেসব দেশের ভিসা সংখ্যা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবারের ভাষণে তিনি সতর্ক করবেন, কনজারভেটিভ সরকারের আমলে অভিবাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, যা জনগণের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। তার মতে, “দেশপ্রেম, যা একসময় কল্যাণকর শক্তি ছিল, এখন ছোট হয়ে গিয়ে রূপ নিচ্ছে জাতিগত জাতীয়তাবাদে।”
বিডি প্রতিদিন/হিমেল