মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ মো. আবদুর রশীদ বলেছেন, জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং আগামী প্রজন্মকে যথাযথভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নিমিত্ত ‘যৌথ ঘোষণা’ বাস্তবায়ন কর্মকৌশল নির্ধারণ সম্পর্কিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে খাদ্য উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫টি মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শুধু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বরং সমন্বিতভাবে তা সুনির্দিষ্ট সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে করতে হবে। তিনি বলেন, সেজন্যই ৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ‘যৌথ ঘোষণা’ স্বাক্ষর করা হয়েছে। এখন প্রত্যেক মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দিকনির্দেশনামূলক সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ কারিগরি সমর্থন নিশ্চিত করবে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় কৃষি, খাদ্য, শিল্প, বাণিজ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল নির্ধারণে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ প্রতিনিধিরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার বিবেচনা করে তাদের করণীয় নির্ধারণ করে। উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ (যেমন- হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, আঘাতজনিত অসুস্থতা ইত্যাদি) প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ৩৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ ‘যৌথ ঘোষণা’য় সই করে।