বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে না। এ দেশের জনগণের এটা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। যারা পিআর নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদের বলব, আপনারা জনগণের কাছে যান। আপনাদের ইশতেহারে বলেন, যে আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাই। এ দেশে জনগণ যদি আপনাদের সংখ্যাগিষ্ঠতা দেয় তাহলে আপনারা এ ব্যবস্থা চালু করবেন। আমরা মাথা পেতে নেব। কিন্তু এভাবে জনগণের ওপরে দু-তিনটি রাজনৈতিক দল, ইউরোপ আমেরিকা থেকে আসা বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এ ধরনের সিস্টেম করতে যাওয়াটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। আমরা দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি, আমরা কখনোই এটিকে সহ্য করব না। এভাবে জনগণের ওপর অত্যাচার করে নিজেদের স্বার্থে, দলীয় স্বার্থে অদ্ভুত নির্বাচনি ব্যবস্থা যার সঙ্গে আমাদের দেশের জনগণ পরিচিত নয়; এ ব্যবস্থা আমরা চালু হতে দিতে পারি না।
গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের উদ্যোগে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নাই’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপি ও মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এতে বক্তব্য রাখেন।
মেজর হাফিজ বলেন, নির্বাচন বানচালকারীদের বিএনপি রাজপথেই প্রতিরোধ করবে। যারা বলছে যে, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আমরা তাদের বলতে চাই, বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়। কারা নির্বাচন হতে দেবে না, আমরা রাজপথে তাদের দেখতে চাই। ১৭ বছরের আত্মত্যাগ তো ব্যর্থ হতে পারে না। ইনশাল্লাহ ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার শুরু হয়েছে পুরোনো খেলা। সেখানে ভারতীয় পতাকা উঠত- বহু বছর আগে থেকেই। শুধু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তিনি সেখানে বাঙালিদের পাহাড়ি এলাকায় পুনর্বাসিত করার পরে সেখানে জনসংখ্যার মধ্যে একটা ব্যালান্স এসেছে। যার জন্য এখন আর তারা ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারছে না। এজন্য শহীদ জিয়াউর রহমান ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। তিনি বাংলাদেশের অখন্ডতাকে রক্ষা করেছেন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে, সবসময় জাতীয় পতাকাকে উড্ডীন রেখেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে আমরা সম্মান করি, তিনি দেশের গৌরব। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি সফলতার মুখ দেখাতে পারেননি। সফলতা পান বা না পান- ব্যয় সংকোচন তো করতে হবে। ১০৪ জনকে নিয়ে কেন জাতিসংঘে গেলেন? ১০ মিনিটের একটা ভাষণ দেবেন, আমি জাতিসংঘে দুবার গিয়েছি। এ ধরনের মিটিংয়ে আমিও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছি। এ ধরনের অধিবেশনে ১০৪ জনের বিরাট লটবহর নিয়ে গিয়েছেন, এটা বাংলাদেশের জনগণের ট্যাক্সপেয়ারের অর্থের অপচয়।