বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা রুমা। এই দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সীমিত। দৈনন্দিন জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের অভাবে অনেক শিশুই পঠনপাঠনের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে না। এই সংকট মোকাবিলায় সামাজিক সংস্থাগুলো বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। রুমা উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাসহায়তা কর্মসূচি তার মধ্যে অন্যতম।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রুমা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত রুমা মারমা মাতৃভাষা সংস্থা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ রুমা উপজেলা সভাপতি অংসাহ্লা মারমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুমা বিহারের অধ্যক্ষ পঞাসরা ভিক্ষু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ওয়াই শৈনু মারমা, ক্রীড়া সম্পাদক ক্যসিংহ্লা মারমা, অর্থ সম্পাদক সিমংনু মারমা, নারী বিষয়ক সম্পাদক উমেসিং মারমা এবং সদস্য উমং মারমা।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে খাতা, কলম, পেন্সিলসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা উৎসাহ ও আনন্দ প্রকাশ করে।
সভাপতি অংসাহ্লা মারমা বলেন, রুমা উপজেলা দেশের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকায় পড়ে। এখানকার শিশুরা নানা শিক্ষা উপকরণের অভাবে ভুগছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগ শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করি, আরও অনেক সংগঠন এই ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।
প্রধান অতিথি ইন্দিরা বংশ মাহাথের মহোদয় বলেন, শিক্ষাই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। পাহাড়ি এলাকার শিশুদের শিক্ষায় উৎসাহ জাগাতে এই ধরনের মানবিক উদ্যোগ আরও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। আমরা চাই, শিশুরা বাধ্য হয়ে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে না থাকুক।
উপস্থিত শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, পাহাড়ি অঞ্চলের শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষায় অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। এই ধরনের শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ তাদের পাঠগ্রহণে আত্মবিশ্বাস ও প্রেরণা জোগাবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগ রুমা উপজেলায় সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সহায়তার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতেও এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং আরও বেশি শিশু শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল