চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে শ্যাম্পু নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের ধরনের মতো চুলের ধরনভেদেও প্রসাধনী ব্যবহার করতে হয়- এই ধারণাটি চুলের যত্নের ক্ষেত্রে পুরোপুরি প্রযোজ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তা ব্যবহার না করে চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু কোনটি?
আপনার চুল যদি স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে বা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এর কারণ ভুল শ্যাম্পু নির্বাচন হতে পারে। চুলের ধরন বুঝে সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহারে মিলবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত চুল।
চুলের ধরনভেদে শ্যাম্পু নির্বাচন
► সোজা চুল : এ ধরনের চুল সরল ও রেশমি হলেও অনেক সময় ফ্ল্যাট বা কম ঘন দেখায়। সোজা চুলের ঘনত্ব বাড়ায় এমন ভলিউমাইজিং শ্যাম্পু বেছে নিন।
► কোঁকড়া চুল : কোঁকড়া চুল বেশ ট্রেন্ডি হলেও এর প্রধান সমস্যা হলো উশকোখুশকো ভাব। ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু কোঁকড়া চুলের শুষ্কতা দূর করে।
► শুষ্ক চুল : শুষ্ক চুলে ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পুই সেরা সমাধান। এই শ্যাম্পুগুলো চুলের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে চুলকে নরম করে তোলে এবং প্রাণ সঞ্চার করে।
► তৈলাক্ত চুল : এ ধরনের চুলে এমন শ্যাম্পু দরকার, যাতে কেটোকোনাজল বা জিঙ্ক পাইরিথিয়নের মতো উপাদান রয়েছে। যা মাথার ত্বকের তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে চুলকে সতেজ রাখে।
► রঙিন চুল : হেয়ার কালার করার পর চুলের যত্নে বিশেষ পরিবর্তন আনা দরকার। এই সময় চুলের রং ধরে রাখে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। বাজারে চুলের ধরন অনুযায়ী কালার ট্রিটেড শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এর ব্যবহারে- চুলের রং বজায় থাকে এবং অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে।
খুশকির সমস্যার সমাধান
অনেকেই মনে করেন, খুশকি কেবল শুষ্ক মাথার ত্বকের সমস্যা। এটি ভুল। অনেক ক্ষেত্রে তৈলাক্ত চুলের কারণেও খুশকি বেড়ে যেতে পারে। তাই খুশকির সমস্যায়- প্রথমে কারণ জেনে নিতে হবে। চিকিৎসক বা কসমোলজিস্টের পরামর্শ মতে ভালো মানের অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
কতবার শ্যাম্পু করবেন?
সোজা চুলের অধিকারীরা সপ্তাহে দুবার শ্যাম্পু করতে পারেন। তৈলাক্ত বা শুষ্ক চুলের অধিকারীরা সপ্তাহে তিন থেকে চারবার শ্যাম্পু করলে ভালো ফল পেতে পারেন। আর হ্যাঁ, কন্ডিশনিং করতে ভুলবেন না।