নারীকে গুণবিচারী ও দর্শনদারি দুই-ই বলা যায়। তিনি অর্ধাঙ্গিনী বা অফিসের কর্মজীবী যে-ই হোন, পুরুষের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে চলেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে করে তোলেন অনন্য
সকালের আলো ধরণির বুকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেই কর্মজীবী নারীকে ভাবতে হয় দিনের পোশাক নিয়ে। তবে এই ভাবনার একটি সরল অঙ্ক আছে। আপনি যদি আগে থেকেই আপনার কাজের তালিকা জানেন যেমন কোনো বিশেষ মিটিং, অ্যাপয়েন্টমেন্ট, দাওয়াত বা প্ল্যান- তাহলে সে অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করা খুব সহজ হবে। মনে রাখতে হবে, পোশাকের জন্য যেন আপনার কাজে কোনো ধরনের বাধা না আসে। সব সময় সেই পোশাকই পরুন, যা সব সময় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করায়।
ফ্যাশন সব সময়ই পরিবর্তনশীল, আর করপোরেট ড্রেস কোডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এক দশক আগেও অফিসপাড়ায় নারীদের কেবল শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যেত। বর্তমানে সে ধারা বদলেছে; ফ্যাশনে এখন ফুল ফরমাল থেকে স্মার্ট ক্যাজুয়াল লুকেও এসেছে পরিবর্তন।
► ট্রেন্ড যতই পরিবর্তিত হোক, বাঙালি নারীর শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজের আবেদন এতটুকুও কমবে না। তবে এখনকার ফ্যাশনে পাশ্চাত্যের মিশেলে নতুন ধারা তৈরি হচ্ছে।
► আমাদের দেশে এখনো অফিসের মেয়েরা সালোয়ার-কামিজ বা কুর্তা-কামিজেই সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অনেকে সালোয়ারের পরিবর্তে লং কুর্তা ও প্যান্টও পরছেন।
► অনেক মেয়ে এখন ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরলেও ফরমাল প্যান্ট-শার্ট বেছে নেন। ক্রপ টপ বা ছোট পোশাক দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই না হওয়ায় তা এড়িয়ে চলা হয়। তবে শার্ট-প্যান্ট পরলেও শার্ট ইন করার অভ্যাসটা এখনো খুব বেশি দেখা যায় না, যদিও ইদানীং করপোরেট ফ্যাশনে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে।
► বর্তমানে বেশ কটি বহুজাতিক সংস্থায় অনেক নারী পলো শার্ট-এর সঙ্গে ফরমাল জিনস বা গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরে যাচ্ছেন। তবে বিজনেস স্যুট পরা মেয়েদের সংখ্যা এখনো কম।
► বাংলাদেশে শাড়ি এখনো ফরমাল ড্রেস হিসেবে পরা হয়। তা ছাড়া আজকাল মিটিং বা ইভেন্টে অনেক কর্মজীবী নারী শাড়ি পরেই আসেন।
পোশাক নির্বাচনের মূলমন্ত্র
ফ্যাশন ট্রেন্ড যাই হোক, একটি কথা মনে রাখা জরুরি- বাঙালি মেয়ে বাঙালি পোশাকেও একই রকম আধুনিক। যদি আপনি পাশ্চাত্যের পোশাকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তবে কিছুটা ঢিলেঢালা পোশাক নির্বাচন করুন, যা দেখতে মার্জিত।
► পোশাকের ফিটনেস, কাট, প্যাটার্ন ও স্টিচিং হতে হবে নিখুঁত।
► পোশাক প্রিন্টেড না হয়ে একরঙা হলেই ভালো। হালকা রঙের ওপর ছোট ছোট প্রিন্টও মন্দ না। তবে অতিরিক্ত রঙিন বা বড় ছাপার পোশাক অফিসের জন্য মোটেও মানানসই নয়।
► হালকা রঙের পোশাকে স্ট্রাইপ বা চেকের ডিজাইন বেশ ট্রেন্ডি লাগে।
সাজসজ্জা ও আনুষঙ্গিক
► ফাউন্ডেশন এবং ফেসপাউডার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। চোখে মাশকারা, কাজল বা আইলাইনার এবং ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক লাগালেই আপনার অফিসের সাজ পূর্ণতা পাবে।
► সামনের দিকে ঢাকা সামান্য হিল জুতা অর্থাৎ পাম্প হিল ব্যবহার করুন। হিলে সমস্যা থাকলে লোফার ব্যবহার করতে পারেন। চামড়ার জুতোয় আভিজাত্য বাড়ে।