প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিশ্বে শীর্ষ স্থান নিয়ে আলোচনা হয় প্রতি দিন। এবার সে তালিকায় অনলিফ্যানস এসেছে অবাক করা অঙ্কের আয় নিয়ে, যেখানে প্রতিটি কর্মী প্রতি বছর উপার্জন করছেন কোটি কোটি ডলার।
সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম অনলিফ্যানস প্রযুক্তি জায়ান্ট এনভিডিয়া, অ্যাপল ও অন্যান্য কোম্পানিকে ছাড়িয়ে কর্মীপ্রতি আয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে। আর্থিক ও বিপণন সংস্থা বারচার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে অনলিফ্যানসের প্রত্যেক কর্মী ৩৭.৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা) আয় করেছে।
মাত্র ৪২ জন কর্মী নিয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি এনভিডিয়ার ৩.৬ মিলিয়ন ডলার এবং অ্যাপলের ২.৪ মিলিয়ন ডলার কর্মীপ্রতি আয়কে ছাড়িয়ে গেছে।
২০২৪ সালে অনলিফ্যানসের মোট লেনদেন ছিল ৭.২২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১.৪১ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মে ৪৬ লাখের বেশি কনটেন্ট নির্মাতা এবং ৩৭৭ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে।
অনলিফ্যানস মূলত সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। এখানে ক্রিয়েটররা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করেন। যদিও এটি প্রাথমিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য পরিচিত, বর্তমানে ফিটনেস, সংগীত, রান্না শেখানোসহ নানা ধরনের কনটেন্ট থেকেও আয় করা হচ্ছে।
মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে ব্যবহারকারীরা ক্রিয়েটরের কনটেন্ট দেখতে পারেন। এছাড়া টিপস ও ‘পে পার ভিউ’ কনটেন্ট থেকেও ক্রিয়েটররা উপার্জন করেন। অনলিফ্যানস তাদের আয়ের ২০ শতাংশ কমিশন হিসেবে রাখে।
অনলিফ্যানস প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা টিম স্টোকলি, ২০১৬ সালে। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় ফিনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, যার নেতৃত্বে আছেন ইউক্রেনীয়-আমেরিকান বিলিয়নিয়ার লিওনিদ রাডভিনস্কি।
গত কয়েক বছরে প্ল্যাটফর্মটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০২৪ সালে কর-পূর্ব মুনাফা ৬৮৪ মিলিয়ন ডলার এবং নিট মুনাফা ৫২০ মিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ক্রিয়েটরদের আয় ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ২০ শতাংশ কমিশন অনলিফ্যানসের।
চলতি বছরে ক্রিয়েটর অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ১৩ শতাংশ, আর ফ্যান অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ২৪ শতাংশ। ২০২৪ সালে মালিক লিওনিদ রাডভিনস্কিকে ৭০১ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ প্রদান করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক