বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ঘোষণা করা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার জন্য আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। এই শর্ত না মানলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।
শনিবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দল ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর ২টার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা সানাউল্লাহ আমিনী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।
অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা মুহসিনুল হাসান, আইনবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, মহানগর উত্তরের সহসভাপতি মাওলানা এহসানুল হক প্রমুখ।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি কেবল আমাদের দলের দাবি নয়—এটি দেশের জনগণের প্রাণের দাবি। আমরা সমমনা দলগুলোর সঙ্গে মিলিত হয়ে এ দাবি আদায়ে আন্দোলনে আছি। জনগণের দাবি মানতে সরকার গড়িমসি করলে আমরা শক্তভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হব। আমরা শান্তিপূর্ণ ও আইনসম্মতভাবেই আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরছি; সরকার যদি অবিলম্বে পদক্ষেপ না নেয়, ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা দেশে পরিবর্তনের জন্য প্রাণ ও রক্ত দিয়েছেন—তাদের ত্যাগের মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব বর্তমান সরকারেরই। যে শহীদদের রক্তে এই সরকারের বৈধতা, সেই শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করলে ইতিহাস তাদের নির্মমভাবে বিচার করবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ