ইউটিউবকে এখন কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, আয়ের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করছেন অনেকে। শখ কিংবা পেশাদারিত্বের কারণে অসংখ্য নির্মাতা নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করছেন এই প্ল্যাটফর্মে। তবে মানসম্মত কনটেন্ট থাকা সত্ত্বেও ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে ভিডিওগুলো ভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারত না।
এই সমস্যার সমাধান হিসেবে ইউটিউব সম্প্রতি চালু করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) মাল্টিল্যাঙ্গুয়েজ ডাবিং সুবিধা। নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে নির্মাতারা তাদের যেকোনো ভিডিও একাধিক ভাষায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুবাদ করতে পারবেন। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী দর্শক সহজেই ভিডিওর বিষয়বস্তু বুঝতে পারবেন।
ইউটিউব জানিয়েছে, এই সুবিধা ধাপে ধাপে সব ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এ উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে নির্মাতাদের কনটেন্ট আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
ইউটিউবের তথ্যমতে, গুগলের এআই মডেল জেমিনি কাজে লাগিয়ে নতুন এ সুবিধা চালু করা হয়েছে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুবাদ করার পাশাপাশি কণ্ঠের আবেগ ও ভঙ্গিও ধরে রাখতে পারে সুবিধাটি। দর্শক ধরে রাখার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। অডিওর পাশাপাশি মাল্টিল্যাঙ্গুয়েজ থাম্বনেলও পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভিন্ন ভাষীদের জন্য আলাদা থাম্বনেল প্রদর্শন করা যাবে। ফলে ভিডিও আরও প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয় হবে। এমনকি আলাদা ভাষাভিত্তিক চ্যানেল খোলার প্রয়োজন হবে না।
ইতিমধ্যে যেসব ভিডিও নির্মাতা বহু ভাষার অডিও সুবিধা ব্যবহার শুরু করেছেন, তাঁদের ভিডিওর দর্শকসংখ্যা প্রায় এক–চতুর্থাংশ বেশি হচ্ছে। মার্ক রোবারের মতো নির্মাতা প্রতিটি ভিডিওতে প্রায় ৩০টি ভাষায় অডিও যুক্ত করছেন। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল থেকে শুরু করে ব্রাজিলের সাও পাওলো পর্যন্ত বিশ্বের নানা প্রান্তের দর্শক তাঁর ভিডিও দেখতে পারছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এআইনির্ভর এ সুবিধা ইউটিউবের লোকালাইজেশন প্রক্রিয়াকে সহজ করেছে। নির্মাতারা এখন ভাষার বাধা ছাড়াই বৈশ্বিক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারছেন। অন্যদিকে দর্শকেরাও নিজেদের মাতৃভাষায় কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
বিডি প্রতিদিন/নাজিম