তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক। ইরাক যুদ্ধের ঘোর বিরোধী। ইতিহাস অবশ্য তাঁকে মনে রাখবে আমেরিকার প্রথম নারী হাউস স্পিকার হিসাবে। তিনি ন্যান্সি পেলোসি। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ থেকে তিনি অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবসরের ঘোষণার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির ন্যান্সি পেলোসিকে ‘একজন শয়তান মহিলা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর ইউএসএ টুডের।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি ছিলেন একজন শয়তান মহিলা। তার খারাপ কাজের কারণে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত খারাপ। আমি মনে করি, তিনি অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেশের উপকার করেছেন। তিনি দেশের জন্য একটি বিশাল বোঝা ছিলেন।’
৮৫ বছর বয়সী পেলোসি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী হাউস স্পিকার। ২০০৩ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টানা দুই দশক ডেমোক্র্যাট দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদে। তার অবসরের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের ইতি ঘটতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যান্সি পেলোসির রাজনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই তিক্ত। দুইজনের মধ্যে বহুবার প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধ ও রাজনৈতিক বিরোধ দেখা গেছে। ট্রাম্পের সঙ্গে তার বিবাদ আমেরিকার রাজনীতিতে বহুল চর্চিত। ২০১৮ সালে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন ন্যান্সি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের সঙ্গে প্রবল বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
এটি টিভিতে তা সরাসরি সম্প্রচার হয়েছিল। বৈঠকের মাঝপথে উঠে চলে এসেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের মুখের উপর বলে দিয়েছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট, আমার সঙ্গেও ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। তাকে দুর্বল ভাববেন না।’ আবার ২০২০ সালে মার্কিন কংগ্রেসের স্টেট অফ দ্য ইউনিয়নে সবার সামনেই ট্রাম্পের ভাষণের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। বামঘেঁষা ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গেও একাধিকবার বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ