জাপানে ভালুকের আক্রমণ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। পার্বত্য আকিতা প্রদেশসহ দেশজুড়ে মানুষ আতঙ্কিত। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এবার সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে দেশটি শিকারি নিয়োগের পরিকল্পনা করেছিল, যাতে বিপজ্জনক ভালুক নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানিয়েছে, আকিতায় ভালো খাবারের সন্ধানে চলমান ভালুক হামলার কারণে সরকার সেনাদের নামিয়েছে। গত সাত মাসে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক আহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, অক্টোবরে দেশে ভালুকের আক্রমণে নিহত হয়েছেন ১২ জন, আহত হয়েছেন শতাধিক। স্কুল, রেলস্টেশন, সুপারমার্কেট এমনকি পর্যটনকেন্দ্রের কাছেও ভালুক দেখা যাচ্ছে।
সরকার জানাচ্ছে, সেনারা গুলি চালাবে না। তারা খাবারসহ ফাঁদ বসাবে, শিকারিদের সহায়তা করবে এবং মৃত ভালুক সরাবে। ডেপুটি চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ফুমিতোশি সাতো বলেন, ‘প্রতিদিনই ভালুক আবাসিক এলাকায় ঢুকছে। পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে, এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
আকিতা প্রদেশের জনসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৮০ হাজার। মে মাসের পর থেকে ৫০ জনের বেশি মানুষ ভালুকের আক্রমণের শিকার হয়েছেন, অন্তত ৪ জন মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ এলাকায় জনসংখ্যা কমায় ভালুকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাহাড়ে বিচগাছের ফল কমে যাওয়ায় ক্ষুধার্ত ভালুকগুলো শহরে ঢুকছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লাইসেন্সধারী শিকারি ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিয়োগে তহবিল বরাদ্দ করা হবে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সরকার বলছে, ভালুক এখন জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।
সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/আশিক