অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার পর প্রথম সেঞ্চুরি কুইন্টন ডি ককের। টপ-অর্ডারের এই ব্যাটারের দুর্দান্ত এক ইনিংসে তার দল দক্ষিণ আফ্রিকাও পেল দাপুটে এক জয়। আর এই জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফিরল প্রোটিয়ারা।
ফয়সালাবাদে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে পাত্তাই দিলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ ৮ উইকেটে জিতেছে সফরকারীরা। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নয় উইকেট হারিয়ে ২৬৯ সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৫৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ম্যাথু ব্রিৎজকের দল।
এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। ২০২৩ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় আছে ওপরে। রান তাড়ায় মোট ১১টি ছক্কা মারে প্রোটিয়া ব্যাটাররা, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ক্রিকেট এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ১১৯ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন ডি কক।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে একই ভেন্যুতে আগামী শনিবারের ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিল।
রান তাড়ায় দারুণ শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লুহান-দ্রে প্রিটোরিয়াস-কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮১ রান। ৪০ বলে ৪৬ করা প্রিটোরিয়াস মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর পাকিস্তানের বোলারদের খাটিয়ে লক্ষ্যের দিকে ছুটতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিক বোলারদের ছাতুপেটা করে সেঞ্চুরি করেন ডি কক। অবসর ভেঙে ফেরা বাঁ হাতি এই ব্যাটারের এটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম।
দক্ষিণ আফ্রিকা যখন জয় থেকে ৩৬ রান দূরে, দ্বিতীয় উইকেটে ডি কক-টনি ডি জর্জির জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। শেষ হয় তাদের ১৫৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ। ৬৩ বলে ৭৬ করেন জর্জ। এরপর ম্যাথু ব্রিটৎজকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন ডি কক।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় ধসের মুখে পড়ে পাকিস্তান। ২২ রানেই স্বাগতিকদের তিন টপ-অর্ডারের ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখায় প্রোটিয়া বোলাররা। ফখর জামান শূন্য, বাবর আজম ১১ আর মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪ রান করে আউট হন। দুই পেসার নান্দ্রে বার্গার আর করবিন বচের তোপে পড়ে তারা।
এরপর সালমান আলি আগাকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার সায়েম আইয়ুব। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৯২ রান। ফিফটি করা সায়েম আউট হলে শেষ হয় সেই জুটি। ছন্দের খোঁজে থাকা এই ওপেনার করেন ৬৬ বলে ৫৩ রান।
৩০ ওভারে দলীয় ১৩০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ২০ বলে ১০ রান করা হোসাইন তালাত নাকাবায়োমজি পিটারের শিকার হন। আড়াইশো পেরোনো পাকিস্তানের জন্য তখন কঠিনই ছিল।
একপ্রান্ত আগলে রাখা সালমান আগার ফিফটির সঙ্গে মোহাম্মদ নেওয়াজের আরেকটি পঞ্চাশার্ধো ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহই পায় তারা। বশের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সালমান করেন ১০৬ বলে ৬৯ রান। ৩ চার ও ৪ ছয়ে নেওয়াজ করেন ৫৯ বলে ৫৯ রান। এ ছাড়া শেষ দিকে দ্রুত রান তোলেন ১৮ বলে ২৮ করা ফাহিম আশরাফ। দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট নেন বার্গার। তিনটি পিটার আর বশ নেন দুটি।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম