যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় সমঝোতা করেছে গুগল ইউটিউব। এ সমঝোতার অংশ হিসেবে গুগলকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে।
অভিযোগে বলা হয়েছিল, ইউটিউব শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছিল বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া। এই তথ্য ব্যবহার করে শিশুদের উদ্দেশে বিজ্ঞাপন দেখানো হতো।
সোমবার রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে ফেডারেল কোর্টে মামলার প্রাথমিক সমঝোতা চুক্তি দাখিল করা হয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক সুসান ভ্যান কিউলেনকে।
গুগল অভিযোগ অস্বীকার করলেও সমঝোতায় রাজি হয়েছে। এর আগেও, ২০১৯ সালে একই ধরনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন ও নিউ ইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেলের মামলায় গুগলকে ১৭০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হয়েছিল।
এবারের মামলাটি করেছে ৩৪ শিশুর অভিভাবক। তাদের অভিযোগ, ইউটিউব শিশুদের আকৃষ্ট করতে কার্টুন, নার্সারি রাইম (শিশুদের ছড়া), ও নানা ধরনের কনটেন্ট ব্যবহার করেছে। এর মাধ্যমে শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যদিও ২০১৯ সালের সমঝোতার পরও এ কাজ বন্ধ হয়নি।
তবে কনটেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ টেকেনি। প্রমাণের অভাবে এ বছরের জানুয়ারিতে তাদের মামলা খারিজ করা হয়। পরবর্তীতে পক্ষগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতার মাধ্যমে এই সমঝোতা হয়।
এই সমঝোতার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১৩ বছরের নিচে যারা ইউটিউব ব্যবহার করেছে, তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে।
আইনজীবীদের মতে, এ মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৪ কোটি ৫০ লাখ শিশু। তাদের মধ্যে মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ দাবি করলে প্রত্যেকে গড়ে ৩০ থেকে ৬০ ডলার পেতে পারে। তবে এর আগে মামলা পরিচালনার খরচ ও আইনজীবীদের ফি কেটে রাখা হবে। আইনজীবীরা ৯ মিলিয়ন ডলার ফি দাবি করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ৬২.৭ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল