রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ছুঁই ছুঁই করছে। যে কোনো সময় এটি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। নদীগুলোর পানি টইটম্বুর হওয়ায় নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচর এলাকায় প্লাবনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এসব নদী আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া করতোয়া, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা ও ঘাঘট নদীর পানি সমতলও আগামী দুই দিন দ্রুত বাড়তে পারে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে রংপুর বিভাগে এবং উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে এবং সংলগ্ন ভারতের প্রদেশগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি আগামী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী তিন দিন সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। এছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি আগামী এক দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী চার দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি আগামী এক দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে পানি হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫২ সেন্টিমিটার, যেখানে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগসহ উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল