আর্জেন্টাইন ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বয়স এবং শারীরিক সক্ষমতা যে তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটিও তিনি পরিষ্কারভাবে স্বীকার করেছেন। তা সত্ত্বেও জাতীয় দলে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে তিনি এখনও আগ্রহী। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মেসি এসব কথা বলেন।
মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি ৩৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ২০২৮ পর্যন্ত নতুন চুক্তি করেছেন মেসি। তার এই ঘোষণা আসন্ন বিশ্বকাপ আয়োজক দেশগুলোর (যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা) ফুটবল বাজারে ইতোমধ্যেই বড় প্রভাব ফেলেছে।
এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, বিশ্বকাপে থাকতে পারা অসাধারণ কিছু। আমি চাই সেখানে থাকতে, চাই সম্মানজনকভাবে দলকে সাহায্য করতে। তবে আমি প্রতিদিন দেখে বুঝব, শরীর কেমন আছে। প্রিসিজন শুরু হলে বোঝা যাবে আমি নিজের শতভাগ দিতে পারব কি না।
মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার প্রায় দুই দশকের। ২০০৪ সালে বার্সেলোনার হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর তিনি পিএসজি ও পরে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ও ক্লাব পর্যায়ে অসংখ্য সাফল্য সত্ত্বেও একসময় জাতীয় দলের হয়ে বড় শিরোপা তার নাগালের বাইরে ছিল। সেই শূন্যতা দূর হয় ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা জয় এবং ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নাটকীয়ভাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার মাধ্যমে।
মেসি বলেন, এটাই ছিল আমার জীবনের স্বপ্ন ছিলো। কোপা আমেরিকা জয়ের পর বিশ্বকাপ ছিল একমাত্র বাকি থাকা অর্জন। অবশেষে সেটা সম্ভব হওয়া আমার জন্য অবিশ্বাস্য।
২০২৬ বিশ্বকাপ মেসির জন্য হবে সম্ভাব্য ষষ্ঠ আসর, যদি তিনি অংশ নেন। এমন নজির ফুটবল ইতিহাসে অত্যন্ত বিরল। যদিও বয়স ও ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, মেসির অভিজ্ঞতা ও খেলার মান তাকে এখনো আর্জেন্টিনার পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখে।
ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, মেসি স্কোয়াডে থাকলে তার ভূমিকা হয়তো পরিবর্তিত হবে, হয়তো পুরো ম্যাচ খেলার পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে মাঠে নামবেন। তবে নেতৃত্ব, দৃষ্টি, এবং ম্যাচ-পরিবর্তনকারী দক্ষতার কারণে তাকে উপেক্ষা করা কঠিন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল