কাতারের দোহায় বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর প্রেষণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর ৮০০ সদস্য কাতারে নিয়োগ পাবেন। প্রাথমিকভাবে তারা তিন বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। তাদের কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক হওয়া সাপেক্ষে নিয়োগের মেয়াদ ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। এ চুক্তির ফলে কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে দক্ষ জনবল পাঠানোর নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, কাতারের দোহায় বাংলাদেশের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান এবং কাতারের পক্ষে চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পাইলট) জাসিম বিন মোহাম্মদ আল মান্নাই। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান, ডেলিগেশন সদস্য এবং দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এ চুক্তির ফলে কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে দক্ষ জনবল পাঠানোর নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো এবং দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সদস্যরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন এবং বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সমর্থ হবে।
আইএসপিআর আরও জানায়, দোহা সফরকালে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার কাতার সরকার, সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সামরিক শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। উল্লেখ্য, ‘আর্থনা’ সম্মেলন উপলক্ষে গত ২১-২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাতার সফর করেন। প্রধান উপদেষ্টার সেই সফর ও ফলপ্রসূ কূটনীতির ফলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর ত্বরান্বিত হয়েছে।