সেই ২০০৩ সালে ঢাকায় খেলতে এসেছিল ভারত জাতীয় ফুটবল দল। শনিবার রাতে ২২ বছর পর ঢাকায় খেলতে এলো তারা। ২০০৩ সালে তৎকালীন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলেছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। এবার নতুন নামকরণে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলবে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। ২০০৬ সালেও সাফ চ্যাম্পিয়ন খেলেছিল ভারত। তবে তা ছিল বয়সভিত্তিক দল। ১৯৮৫ সালেই প্রথমবার ঢাকায় আসে ভারতীয় জাতীয় দল। সেবার তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে সাফ গেমসের ফাইনালে লড়েছিল। অল ইন্ডিয়া ফুটবল টিম নাম হলেও ১৯৭৭ সালে ঢাকায় আগাখান গোল্ডকাপে মূলত ভারত জাতীয় দলই অংশ নিয়েছিল। ফাইনালে তারা ইরানের সফেরুদ ক্লাবের কাছে হেরে যায়। ১৯৭২ সালে ভারতের মোহনবাগান ঢাকা একাদশের বিপক্ষে খেলে যায়। এরপর ইস্টবেঙ্গল, কলকাতা মোহামেডান ও মোহনবাগান বেশ কটি টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছিল।
২২ বছর পর খেলতে এলেও কোনো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে না ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়ান বাছাইয়ে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে অংশ নেবে। চূড়ান্ত পর্বে খেলার আশা দুই দলেরই শেষ হয়ে গেছে। তার পর ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি বলেই ম্যাচের গুরুত্ব অনেক। ২৩ সদস্যের দল নিয়ে ঢাকায় এসেছে ভারত। তবে ব্যতিক্রমী হচ্ছে এই প্রথম তাদের জাতীয় দলের সঙ্গে প্রবাসী ফুটবলার এসেছেন। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রায়ান উইলিয়ামস দলের সঙ্গী হয়েছেন। তবে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কেননা, এখন পর্যন্ত তার কাগজপত্র তৈরি হয়নি।
গতকাল ভারত ক্লোজডোর অনুশীলন করেছে। আজ সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হবে। এর আগে ২৬ মার্চ বাংলাদেশ শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছে। সেই ম্যাচে জাতীয় দলে হামজার অভিষেক হয়েছিল। গোলশূন্য ড্র হয়েছিল ম্যাচ। ভারতে গিয়ে নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আলো স্বল্পতার মাঠে অনুশীলন। নিম্নমানের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা- সব মিলিয়ে অতিথি দলের সঙ্গে বাজে আচরণ করা হয়েছে। বাফুফে কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি। অনুশীলন, থাকার ব্যবস্থা খুবই উঁচুমানের। এমনকি চোখে ধরার মতো নিরাপত্তাও দেওয়া হচ্ছে তাদের।