তুরস্ক গাজা উপত্যকায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন হলে সেনা পাঠাতেও প্রস্তুত, এমন বার্তা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। শনিবার তুরস্কের একটি চ্যানেলে সরাসরি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গাজার বর্তমান মানবিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানে আঙ্কারা দায়িত্ব নিতে দ্বিধা করবে না।
ফিদান বলেন, গাজা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে আমাদের বার্তা স্পষ্ট তুরস্ক তার দায়িত্ব পালনে পিছপা হবে না। প্রয়োজনে সৈন্য পাঠানোসহ যে কোনো ভূমিকা গ্রহণে আমরা প্রস্তুত। তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাম্প্রতিক বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, গাজা সংকট ও দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তুরস্কের সক্রিয় পররাষ্ট্রনীতি দেশটিকে এখন বহু আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একটি নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনায় গাজার জন্য একটি সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনাধীন খসড়া প্রস্তাবেও এই বাহিনীর কাঠামো ও দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান ফিদান।
মার্কিন সমন্বয়ে ইসরাইলের ভেতরে একটি সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে, যা যুদ্ধবিরতি পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ভূমিকা রাখছে। ফিদান জানান, কাতার, মিশর ও তুরস্ক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় শারম আল-শেইখ বৈঠকের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এখনো প্রত্যাশার তুলনায় কম। তুরস্ক একটি বিশেষ মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী নিয়োগ করেছে এবং সহায়তা জোরদারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরাইলি দখল অব্যাহত থাকলে সশস্ত্র প্রতিরোধ থামবে না বলেও মন্তব্য করেন ফিদান। তিনি বলেন, দখল চললে প্রতিরোধ চলবেই; হামাস না থাকলে অন্য কেউ থাকবে। দখল বন্ধ করাই মূল শর্ত।
সূত্র: টিআরটি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল