অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দেড় শতাব্দির টেস্ট ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত হতে যাচ্ছে। মাত্র দুইজন আদিবাসী ক্রিকেটার থাকা এই ঐতিহ্যবাহী তালিকায় এবার যুক্ত হতে চলেছেন ব্রেন্ডান ডগেট। জশ হেইজেলউডের চোটে সুযোগ এসে গেছে ৩১ বছর বয়সী এই পেসারের সামনে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টেই ‘ব্যাগি গ্রিন’ মাথায় তুলে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭২তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হবে তার।
এতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথমবারের মতো একই একাদশে দেখা যেতে পারে দুইজন আদিবাসী ক্রিকেটারকে—স্কট বোল্যান্ড ও ডগেট। বিষয়টি রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে, বিশেষ করে আদিবাসী ক্রিকেটারদের পথপ্রদর্শক জেসন গিলেস্পির কাছে।
ডগেটের উঠে আসার পথটাও অনন্য। ২২ বছর হওয়ার আগে জাতীয় বা রাজ্য পর্যায়ের কোনো বয়সভিত্তিক দলে পর্যন্ত খেলেননি তিনি। বিভিন্ন ক্লাব ও স্থানীয় টুর্নামেন্টে নিজেকে প্রমাণ করে কুইন্সল্যান্ডের ‘রুকি’ চুক্তি পান ২২ বছর বয়সে। এরপরই শুরু তার প্রকৃত যাত্রা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০ ম্যাচে ১৯০ উইকেট নিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নির্ভরযোগ্য পেসার হিসেবে। গত বছর অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে মাত্র ১৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন তিনি। চলতি মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র দুই ম্যাচে শিকার করেছেন ১৩ উইকেট।
চোটের কারণে প্যাট কামিন্স ও জশ হেইজেলউডকে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। তবুও ডগেটের সক্ষমতা নিয়ে গিলেস্পি বেশ আশাবাদী। এবিসি রেডিওকে তিনি বলেন,'অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে গতিময় বোলারদের একজন সে। দারুণ ফিট, পুরোপুরি প্রস্তুত। ইংল্যান্ড হয়তো কিছুটা সুযোগ দেখছে, তবে আমার বিশ্বাস এই পেস আক্রমণ কাজটা করতে যথেষ্ট সক্ষম।'
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার কোচ থাকার সময় ডগেটকে কাছ থেকে দেখেছেন গিলেস্পি। তার মতে, প্রথাগত পথ ছাড়িয়ে উঠে আসার গল্পটি অনেক তরুণ ক্রিকেটারের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
বিডি প্রতিদিন/মুসা