বন্ডের অপব্যবহারকারীদের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক-দুজন বন্ড অপব্যবহারকারীকে ধরে দৃশ্যমান ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলরুমে ‘মিট দ্য বিজনেস’ অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের
(বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. শাহরিয়ারসহ শীর্ষ ব্যবসায়ী ও এনবিআর কর্মকর্তারা। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বন্ডের অপব্যবহার যারা করে তারা সমস্যায় পড়ে না। যারা করে তাদের সময়োচিত শাস্তি দেন, প্রয়োজনে তাদের ছবি পত্রিকায় দিতে পারেন। আমরা বন্ড অপব্যবহারকারীদের দেখতে চাই, তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন। তাদের কারণে আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, বিজিএমইএর কোনো সদস্য যদি বন্ডের অপব্যবহার করে, তবে তার সার্ভিস বন্ধ করা হবে। ইতোমধ্যে অপব্যবহারের ইঙ্গিত পেয়ে ২২টি প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অল্প কিছু লোকের জন্য যেন পুরো কমিউনিটি দোষারোপের শিকার না হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, বন্ডের ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে। কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার ১০০% অটোমেটিক এবং বাধ্যতামূলক করা হবে। এ বিষয়ে এনবিআর থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হবে, যেখানে বলা হবে যে এখন থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আর কোনো কাজ নেওয়া হবে না।