তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পে আরেকটি মাইলফলক সংযোজন হলো নতুন প্রজন্মের ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তোলগা। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা এমকেই রবিবার জানায়, কেন্দ্রীয় কনিয়া প্রদেশের কারাপিনার ফায়ারিং টেস্ট অ্যান্ড ইভালুয়েশন গ্রুপ কমান্ডে অনুষ্ঠিত সফল পরীক্ষায় তোলগা সিস্টেম একাধিক মানববিহীন আকাশযান (ইউএভি) নির্ভুলভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তোলগা সিস্টেমটি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রাকৃতি ইউএভি, ট্যাকটিক্যাল ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং স্মার্ট গোলাবারুদ প্রতিহত করতে সক্ষম। বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ধারণার ওপর ভিত্তি করে এটি সফট-কিল (ইলেকট্রনিক জ্যামিং) এবং হার্ড-কিল (সরাসরি গোলাবর্ষণ) দুই ধরনের প্রতিরক্ষা সমাধান একত্রে প্রদান করে। এতে কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, রাডার, ইলেকট্রো-অপটিক সেন্সর, টারেটেড অস্ত্র এবং বিশেষ অ্যান্টি-ড্রোন গোলাবারুদ যুক্ত রয়েছে।
পরীক্ষায় প্রথমে একটি শত্রুবিমানের অনুকরণে পরিচালিত ড্রোন প্রায় ৩ কিলোমিটার দূর থেকে শনাক্ত হয়। রাডার সিগন্যাল নিশ্চিত করার পর ইলেকট্রো-অপটিক চিত্রায়নে লক্ষ্যটি সনাক্ত করা হয় এবং সফট-কিল পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক জ্যামিং ব্যবহার করে ড্রোনটিকে কার্যকরভাবে নামানো সম্ভব হয়। পরবর্তী হার্ড-কিল পরীক্ষায় জোড়া ১২.৭ মিমি স্থির বন্দুক, একটি ঘূর্ণায়মান ১২.৭ মিমি যানবাহন-সংযুক্ত বন্দুক এবং ২০ মিমি অস্ত্রব্যবস্থা ব্যবহার করে নিকটবর্তী ও নিম্ন-উড্ডয়ন ড্রোন ধ্বংস করা হয়। ধাতব খণ্ড দিয়ে ‘মেটাল ক্লাউড’ তৈরি করতে সক্ষম বিশেষ গোলাবারুদ লক্ষ্যবস্তুকে ভূপাতিত করার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে।
পরীক্ষা শেষে এমকেই এর মহাপরিচালক ইলহামি কেলেশ সাংবাদিকদের জানান, বাস্তব যুদ্ধের অনুরূপ পরিস্থিতিতে তোলগা সিস্টেমের পারফরম্যান্স অত্যন্ত সফল। তিনি উল্লেখ করেন, পরীক্ষায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত জনপ্রিয় ড্রোনের সমতুল্য ছিল।
তিনি দাবি করেন, অল্প গোলাবারুদে অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পেরেছে, এর অধিকাংশই মাত্র তিন থেকে চার রাউন্ডে করা হয়েছে; আমাদের জন্য এটা বড় অর্জন।
সূত্র,: ডেইলি সাবা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল