মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাজধানীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরেও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণার জন্য গত বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। বহুল আলোচিত এ মামলায় শেখ হাসিনার রায় কী হবে, এটাই এখন প্রশ্ন সবার। তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষী উপস্থাপনের মাধ্যমে সব অভিযোগই প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ার কথা জানিয়ে এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তিই হবে বলে প্রত্যাশা প্রসিকিউশনের।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি আদালতের কাছে আবেদন করেছি। আদালত তার সুবিবেচনা প্রয়োগ করবেন এবং আমাদের পক্ষ থেকে আবেদন হচ্ছে যে এই অপরাধের দায়ে আসামিদের যেন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়। অন্যদিকে পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন আশা করেন তার ক্লায়েন্টরা খালাস পাবেন।
শেখ হাসিনার মামলার রায় কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ছক এঁকেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। আগাম তথ্যের দিকেই থাকছে বিশেষ নজর। ফোর্সের সদস্যদের রাখা হচ্ছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়।
বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ফোর্স সদর দপ্তরগুলো। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই), প্রবেশপথ ও সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে নেওয়া হচ্ছে তিন স্তরের নিরাপত্তা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ