ভারতে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার। মধ্যপ্রদেশের জনবহুল শহর ইন্দোরে তাঁদের অশ্লীলভাবে স্পর্শ করে পালিয়ে যায় এক মোটরসাইকেল আরোহী। পরে অভিযুক্ত আকিল আলিয়াস নৈত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনাটি নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তখন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী কৈলাশ বিজয়ভার্গিয়া। তিনি বলেন, “এটি ক্রিকেটারদের জন্য একটি শিক্ষা, ভবিষ্যতে তারা আরও সতর্ক থাকবে।” তবে তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
বিজেপির এই নেতার বক্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ও জঘন্য’ বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলে অনেকেই মনে করছেন, এমন সংবেদনশীল ঘটনায় মন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির সঙ্গে আলাপকালে কৈলাশ বিজয়ভার্গিয়া বলেন, “যখনই কোনো খেলোয়াড় বাইরে যায়, আমাদের উচিত স্থানীয় প্রশাসন বা নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে জানানো। এটি তাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে— ভবিষ্যতে তারা আরও সতর্ক থাকবে।”
তিনি আরও উদাহরণ দেন ইংল্যান্ডের এক ফুটবলারের, যার জনপ্রিয়তার কারণে এক নারী ভক্ত প্রকাশ্যে তাঁকে আলিঙ্গন ও জামা টেনে ধরেছিলেন। “ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও একই বাস্তবতা,” বলেন এই মন্ত্রী।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই বলেছেন, “ভিকটিম-ব্লেমিং নয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের কাজ।”
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইন্দোরের খাজরানা রোড এলাকায় ক্যাফেতে যাচ্ছিলেন দুই অজি ক্রিকেটার। তাঁদের অনুসরণ করতে থাকে এক মোটরসাইকেল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ব্যক্তি এসে তাঁদের অশালীনভাবে স্পর্শ করে পালিয়ে যায়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে এমআইজি থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৪ ও ৭৮ ধারায় মামলা করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় অভিযুক্ত আকিলকে হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ লাগানো অবস্থায় হাজির করে স্থানীয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলমান নারী বিশ্বকাপে ইন্দোরে অন্তত তিনটি ম্যাচ থাকায় দীর্ঘ সময় অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। শনিবার রাতেই তারা হোলকার স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছে, যেখানে ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়ে লিগপর্ব শেষ করেছে। দলটি ৭ ম্যাচে ৬ জয় ও ১ পরিত্যক্ত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে ৩০ অক্টোবর, নাভি মুম্বাইয়ে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/আশিক