বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোন্থা’। এটি থাইল্যান্ডের দেয়া নাম। স্থানীয় ভাষায় যার অর্থ ‘সুগন্ধি ফুল’ বা ‘সুন্দর ফুল’।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৫ নং) বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মোন্থায় পরিণত হয়ে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৭° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৫.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ ভোর ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এরপর মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ