রাজশাহীর বাগমারায় দুই নারীকে কফিতে ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতাররা হলেন তৌহিদুল ইসলাম (২৪) ও মশিউর রহমান (২৩)।
গতকাল রবিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারদের কাছ থেকে শুধু দুই জোড়া নূপুর উদ্ধার করা গেছে।
পুলিশ জানায়, প্রতারিত নারীদের একজন রূপা খাতুন, যিনি চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত। রূপার বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বান্দাই খাঁড়া গ্রামে। গ্রেফতার তৌহিদুল ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রূপার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। ফেসবুকের মাধ্যমে রূপা খাতুনের সঙ্গে পরিচয় হয় তৌহিদের। তিনি ‘কষ্টের জীবন’ নামে আইডি খুলে রূপার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ২০ অক্টোবর তৌহিদুল তার সহযোগী মশিউরকে সঙ্গে নিয়ে রূপা ও তার খালাতো বোনকে বাগমারার ভবানীগঞ্জ বাজারে ডেকে নিয়ে যান।
দুই নারীকে চাইনিজ খাবার ও কফি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে মার্কেটের পাঁচতলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নেওয়া হয়। সেখানে বসে থাকার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই নারী অচেতন হয়ে পড়েন। প্রতারকরা তাদের মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের গহনা লুট করে পালিয়ে যান। এরপর অচেতন অবস্থায় দুই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
গত ২৪ অক্টোবর প্রতারিত নারীরা বাগমারা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অনুসন্ধান করে ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে দুই প্রতারককে শনাক্ত করে এবং শনিবার রাতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
প্রতারিত এক নারী জানিয়েছেন, তাদের দুইটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণের গহনা ও দুই জোড়া নুপুর লুট করা হয়েছে।
পুলিশের বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার দুই প্রতারকের কাছ থেকে এক জোড়া নূপুর ছাড়া অন্যগুলো উদ্ধার হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ