আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে মিশনে নেমে দলীয় ৫৩ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সে বিপদ থেকে দলকে মুক্ত করে ফিফটি আদায় করে নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়।
তবে মিরাজে সঙ্গে ১০১ রানের জুটি গড়ে রান আউটের শিকার হন হৃদয়। হৃদয় আউট হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৫৬ রান করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৬.১ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৮ রান।
এর আগে বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ওপেন করতে মাঠে নামেন তানজিদ হাসান তামিম এবং অভিষিক্ত সাইফ হাসান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ- টানা তিন বলে ক্যাচ তুলেছিলেন সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম।
আফগান ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় প্রথম দুই বলে আউট হওয়া থেকে বেঁছে যান সাইফ ও তানজিদ তামিম। কিন্তু চতুর্থ বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে তামিম যে ক্যাচ তুললেন, সেটি ধরতে রহমানুল্লাহ গুরবাজের আর কষ্ট করতে হয়নি।
১৮ রানের মাথা পড়ে প্রথম উইকেট। ১০ বলে ১০ রান করেন তানজদি তামিম। এরপর মাঠে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবেক এই অধিনায়ক নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার। কিন্তু তিনি প্রত্যাশা মোটেও মেটাতে পারলেন না। ৫ বল খেলে ২ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে হাশমতউল্লাহ শহিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্ত। এ সময় ২৫ দলীয় রান।
তৃতীয় উইকেটে জুটি বাধেন সাইফ হাসান এবং তাওহিদ হৃদয়। এ দু’জনের ব্যাটে বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ। ২৮ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের মধ্যে হয়তো পার্থক্যটা ধরতে পারেননি সাইফ হাসান। ১২তম ওভারের ৫ম বলে নানগেলিয়া খারোতকে তুলে মারতে গিয়ে ওয়াইডিশ লং অফে রশিদ খানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ২৬ রান করেছেন এই ওপেনার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত