কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমর নদের স্রোতে একটি মৃত গন্ডার ভেসে এসেছে। বুধবার সন্ধ্যায় নদের চরে ভেসে আসা এ গন্ডারটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানিতে জেলার নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ফলে পাহাড় ধস ও বনাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় দুধকুমর নদ দিয়ে কাঠের গুড়ি, মৃত গরু, সাপ ও মাছ ভেসে আসতে থাকে। ইতোমধ্যেই নদের পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
তবে সবশেষ বুধবার সন্ধ্যায় ভেসে আসা এ গন্ডারটি দেখা যায়। মৃত গন্ডারটি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণছাট গোপালপুর গ্রামের দুধকুমর নদের ওই চরে এসে আটকা পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, গন্ডারের আবাসস্থল তলিয়ে যাওয়ায় বন্যার পানিতে ডুবে এ গন্ডারটি মারা যেতে পারে। পরে তা ভেসে এখানে এসে আটকা পড়ে। এটি স্থানীয়দের চোখে পড়লে ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন তারা। পরে তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম দ্রুত খবর দেন কুড়িগ্রামের বন বিভাগকে। এরপর কুড়িগ্রাম রেঞ্জ কর্মকর্তা (সামাজিক বনায়ন) সাদিকুর রহমান খবর পেয়ে সেখানে আসেন। এসময় যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা, উপজেলা বন কর্মকর্তা সেকেন্দার আলীসহ অন্যান্যরাও ঘটনাস্থলে আসেন।
কুড়িগ্রাম রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদিকুল ইসলাম জানান, গন্ডারটি বড় ও ভারী হওয়ায় অন্যত্র সরানো বেশ কষ্টকর। তাই এটি এখানেই মাটিতে পুঁতে রাখতে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়। পরে জাদুঘরের লোকজন এসে গন্ডারের হাড়গোড় সংগ্রহ করবেন।
যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা জানান, খবর পেয়ে এসে আমরা গন্ডারটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। পরে দুই মাস সময়ের ব্যবধানে এর মধ্যে দেহে পচন ধরলে এর হাড়গোড় সংগ্রহ করে যমুনা সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই