মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ উপলক্ষে ভোলায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
তিনি জানান, দেশের সমুদ্র, উপকূলীয় অঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ রক্ষায়ও দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং মাছ ধরায় নিষিদ্ধ সময়কালে টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি বেআইনি আর্টিসানাল ট্রলিং বোটের মাধ্যমে মাছ শিকারের ফলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এতে মাছের প্রজনন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সামুদ্রিক গাছপালা ও পোনামাছ ধ্বংস হয়ে সমুদ্রের ইকোসিস্টেমের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। তবে কোস্ট গার্ডের ধারাবাহিক অভিযানে এসব অবৈধ ট্রলিং বোটের ব্যবহার অনেকাংশে কমে এসেছে বলে জানানো হয়। এর ফলে সমুদ্র ও নদীতে মাছের প্রাচুর্যতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে “মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম-২০২৫” সফল করতে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা সারাদেশে বলবৎ থাকবে।
এ সময় কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ২৪ ঘণ্টা টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হচ্ছে। জেলেদের প্রতি আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ১৬১১১ নম্বরে কল করলে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
তিনি আরও জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপকূলীয় ও নদী এলাকার মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোতে সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রাখবে কোস্ট গার্ড।
বিডি প্রতিদিন/মুসা