ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে রাজধানীর আরও পাঁচটি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে এ মামলাগুলোর দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন।
মামলাসমুহের মধ্যে ২০১৩ সালের রাজধানীর পল্টন থানার ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় করা একটি মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
২০১২ সালের রাজধানীর সূত্রাপুর থানার ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় ২০১৫ সালের রাজধানীর পল্টন থানার পৃথক তিনটি মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়া হয়। এসব মিথ্যা মামলায় তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। দিনের পর দিন তাকে থাকতে হয় জেল হাজতে।
জাকির হোসেন আরও বলেন, আমরা তখন আদালতকে বারবার বলেছি যে এসব মামলা মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে করা পাঁচ মামলায় আজ ঢাকার আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে করা একাধিক মামলায় খালাস ও অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই আইনজীবী আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা রয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই তিনি সব মামলা থেকে অব্যাহতি ও খালাস পাবেন।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন থানার বিস্ফোরক দ্রব্যদি আইনে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অব্যাহতি প্রদান করেন মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত