নির্বাচনি ম্যাকানিজমে সরকারকেও পেছনে ফেলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)! বিসিবি নির্বাচনের কাছে হার মানছে জাতীয় নির্বাচন। আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অথচ আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্যাটাগরি-১, ২ ও ৩-এর কাউন্সিলরদের চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। যদিও কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোর জন্য দুই-দুইবার সময় বাড়ানো হয়।
প্রথমে কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোর তারিখ ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। পরবর্তীতে সেটা বাড়িয়ে ১৯ ও ২২ সেপ্টেম্বর করে। তারপরও নির্বাচন কমিশন ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেনি। সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যাটাগরি-১’র জেলা ও বিভাগের কাউন্সিলরদের নাম জমা পড়েছে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে কাউন্সিলরদের নাম গ্রহণ করছে, যা সম্পূর্ণ নির্বাচনের তফসিল ভঙ্গ করেছে।
নির্বাচনি তফসিলে কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা। পরে রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তারপরও কাউন্সিলরদের নাম জমা পড়েনি। যদিও আজ সকাল ১০টায় পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। গতকাল সোমবার আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের শেষ বৈঠক হয়। সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে সেটা রাত ৯টায় শুরু হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বৈঠক। তারপরও পরিচালনা পর্ষদ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। এতে করে ৬ অক্টোবরের নির্বাচন হওয়া নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা ও বিভাগের কাউন্সিলরদের নাম নিয়ে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল গতকাল সোমবার। ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্বাক্ষরিত চিঠিতে প্রথমবার পাঠানো জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলরদের নাম বাতিল করেন। তিনি নির্দেশ দেন, সরকার নির্ধারিত অ্যাডহক কমিটির পাঠানো কাউন্সিলরদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। বিসিবির সভাপতির চিঠির বিপক্ষে জেলা, বিভাগ ও ক্লাব কর্মকর্তারা রিট করেন। প্রথমে বুলবুলের চিঠির কার্যকারীতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। তবে দেড় ঘণ্টা পর বুলবুলের চিঠির পক্ষে রায় দেন চেম্বার আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত