থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলে বন্যায় অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, এই সপ্তাহে আরো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
থাইল্যান্ডের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, চাও ফ্রায়া নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে কয়েকটি প্রদেশে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ চলতি সপ্তাহের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজধানী ব্যাংককের উত্তরাঞ্চলীয় আয়ুথায়া প্রদেশে বন্যার পানি থেকে মালামাল সরানোর সময় দুই ব্যক্তি ডুবে মারা গেছেন। এছাড়া, ফেচাবুন প্রদেশে নৌকা ডুবে আরেকজনের মৃত্যু হয়। ফিচিত প্রদেশে বন্যা কবলিত এলাকায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ১৭ বছরের এক কিশোরী প্রাণ হারায়।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত থাইল্যান্ডের উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর পাশাপাশি রাজধানী ব্যাংককেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় আকস্মিক বন্যাও দেখা দিতে পারে।
প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে থাইল্যান্ডে ভারী বর্ষণ দেখা যায়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়ার প্রভাব আরও তীব্র হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে অপ্রত্যাশিত করে তুলছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
এর আগে গত মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলে টাইফুন কাজিকির প্রভাবে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় পাঁচজন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়। ওই টাইফুনে ভিয়েতনামে হাজারো বাড়ির ছাদ উড়ে যায়, কয়েকজন মারা যান এবং লক্ষাধিক মানুষকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০১১ সালে থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান এবং সারা দেশে লাখ লাখ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম