দীর্ঘ ২৭ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইতিহাস গড়তে হলে লর্ডসের ঐতিহাসিক মাটিতে তাদের করতে হবে ২৮২ রান, হাতে রয়েছে আড়াই দিনের মতো সময়।
শেষবার ১৯৯৮ সালে আইসিসির কোনো ট্রফি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, সেটিও ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এরপর বহুবার সুযোগ এলেও বারবার ব্যর্থতায় ম্লান হয়েছে প্রোটিয়াদের সাফল্যগাথা। আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেও শিরোপার মুখ দেখা হয়নি, বরং ‘চোকার’ তকমা গায়ে লাগিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও ভারতের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এবার আবার সামনে সুযোগ – টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মঞ্চে চ্যাম্পিয়নের মুকুট ছিনিয়ে আনার।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ২১২ রানের সংগ্রহ গড়ে। জবাবে মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এরপর ৭৪ রানের লিড নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে অজিরা। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ১৪৪ রান, লিড দাঁড়ায় ২১৮।
তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুতই নাথান লায়নকে (২) এলবিডব্লিউ করেন কাগিসো রাবাদা। কিন্তু এরপর প্রোটিয়াদের স্বপ্নে বড় ধাক্কা দেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। শেষ উইকেট জুটিতে তারা গড়ে ফেলেন ৫৯ রানের এক দুর্দান্ত পার্টনারশিপ। যেখানে স্টার্ক খেলেন অপরাজিত ৫৮ রানের কার্যকর ইনিংস।
শেষ পর্যন্ত এইডেন মার্করাম হ্যাজলউডকে (১৭) আউট করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামান ২০৭ রানে। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রানের।
প্রোটিয়াদের হয়ে রাবাদা ৪ উইকেট ও এনগিডি ৩ উইকেট নেন। ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গঠনে সবচেয়ে বড় অবদান আসে স্টার্কের ব্যাট থেকে।
এই টেস্টে ইতোমধ্যেই দুই দিনে পড়েছে ২৮ উইকেট। এমন উইকেটে এই লক্ষ্য তাড়া কতটা সম্ভব হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা জানে, এবার সুযোগ হাতছাড়া হলে ফের ইতিহাসের পাতায় শুধুই আক্ষেপ লেখা থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা