কুষ্টিয়ার খোকসার গ্রামে নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া গেলো প্রতিবেশীর পুকুরে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোপগ্রামে একটি পুকুর থেকে ১৮ ঘন্টা আগে নিখোঁজ বৃদ্ধা রুপবান খাতুন (৫৫) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবার ও স্থানীয়রা। ওই বৃদ্ধা একই গ্রামের মোকারম শেখের স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আগের দিন শুক্রবার বিকালে বৃদ্ধা রুপবান খাতুন গোসল করতে বেড়িয়ে নিখোঁজ হন। এর পর থেকে পরিবারের লোকেরা বৃদ্ধাকে খোঁজাখুজি করেন। পরদিন শনিবার সকালে একই গ্রামের খন্দকার বাড়ির পুকুরে বৃদ্ধার মৃতদেহ ভেসে ওঠে। পরিবারের লোকেরা এসে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃদ্ধা রুপবান খাতুন ও তার শাশুড়ি বৃদ্ধা জহুরা খাতুন স্বামীর ভিটায় বসবাস করতেন। সন্তানরা যে যার মতো নিজেরা বাড়ি করে সেখানে থাকেন। শুক্রবার বিকালে বৃদ্ধা গোসল করতে বেড়িয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পুত্র বধূর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ভেঙ্গে পরেছেন জহুরা খাতুন। তাকে কে দেখবে। তার আর দেখার কেউ রইল না বলে বিলাপ করছে তিনি।
খন্দকার বাড়ির গৃহবধূ মুক্তা খাতুন বলেন, তিনিই প্রথমে বৃদ্ধার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখেন। মহিলা মাঝে-মধ্যে আমাদের পুকুরে গোসল করতে আসতেন। লাশ দেখে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে স্থানীয়রা ও বৃদ্ধার পরিবারের লোকেরা লাশটি উদ্ধার করেন।
নিহতের ছেলে তরুণ শেখ জানান, তার মা ওই বাড়িতে থাকতেন। গতরাতে মাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। পরদিন শনিবার সকালে তার মা রুপবানের লাশ পুকুরে ভাসছে বলে খবর পান। পরে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করেন।
খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম