হামজা দেওয়ান চৌধুরী, বয়স মাত্র ২৭। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু খেলছেন বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিতে। মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অভিষেক হয় হামজার। তার অভিষেক ম্যাচটি বাংলাদেশ জেতেনি। একাধিক গোল মিসের খেসারত গুনেছে গোলশূন্য ড্র করে। দল না জিতলেও হামজা জিতেছেন। ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করেছেন। গোটা মাঠ দাবড়ে খেলেছেন। বারবার ভারতীয় শিবিরকে আতঙ্কিত করেছেন। কখনো দলকে রক্ষা করেছেন। কখনো দলের আক্রমণ সাজিয়েছেন। গোটা ম্যাচে অসাধারণ ফুটবল খেলে নিজের জাত চিনিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি কেন এক এবং অনন্য। হামজা দেওয়ান চৌধুরীর ফুটবল দেখতে গোটা দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা তাকিয়েছিলেন পাহাড়ি শহর শিলংয়ের দিকে। বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার বিপ্লব ভট্টাচার্য গভীর মনোযোগে খেলা দেখেছেন। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে হামজার খেলায় মুগ্ধ হয়েছেন। দলকে সামনে থেকে খেলাতে দেখে হামজাকে একজন নেতা হিসেবে স্বীকার করেছেন
বিপ্লব ভট্টাচার্য বাংলাদেশের সাবেক গোলরক্ষক। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন গোলকিপিং কোচ। মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখেছেন। তার সব দৃষ্টি ছিল হামজার দিকে। খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হামজার খেলা দেখে বিপ্লব তাকে একজন লিডার বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ফুটবলের জন্য এতদিন একজন লিডারের দরকার ছিল। আমার মনে হয়েছে হামজা সেই লিডার। তিনি পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করেছেন। সারা মাঠ দৌড়ে খেলে গোটা দলকে লিড দিয়েছেন। হামজা শুধু দলকে লিড দেননি, আমার মনে হয়েছে হামজার অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশের ফুটবলে জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। যেমনটি হয়েছিল ৮০-এর দশকে।’ হামজা সব জায়গায় খেললেও শুধু গোল করেননি। কাবরেরার দলে এ জায়গায় অভাব প্রচণ্ডভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। দলে একজন নম্বর নাইনের অভাব দেখেছেন বিপ্লব। তিনি বলেন, ‘প্রথম ১৫ মিনিটে আমরা ৩টি গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু গোল পাইনি। আমাদের যদি একজন নম্বর ‘নাইন’ থাকতেন, তাহলে প্রথমার্ধেই বেশ কয়েক গোলে এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয়েছে ভারতের বিপক্ষে খেলার আগে এক-দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা উচিত ছিল। বাফুফের সভাপতি তাবিথ আওয়াল ভাই ও সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল ভাইদের এ বিষয়টির দিকে নজর রাখা উচিত।’