হোক দুর্বল প্রতিপক্ষ তার পরও সমান ভেবে লড়তে হবে। এখন পয়েন্ট হারানো মানে আরও পিছিয়ে পড়া। বসুন্ধরা গ্রুপ পেশাদার ফুটবল লিগে দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নামে শিরোপাপ্রত্যাশী দুই ক্লাব বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী। পুরো পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তারা। টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ২-০ গোলে হারিয়েছে নবম স্থানে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনীকে। অন্যদিকে ঢাকা আবাহনী ৬-১ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় জায়ান্ট কিলার খ্যাত ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলকে। এ জয়ে ১০ ম্যাচে আবাহনী ২৩ ও কিংসের সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান সমান ম্যাচে ২৭ পযেন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। গতকালের খেলা দিয়েই লিগ ফের বন্ধ থাকবে। ঈদের পর ১১ এপ্রিল দ্বিতীয় লেগের ১১তম রাউন্ডের ম্যাচ শুরু হবে।
১১, ১২ ও ১৩তম রাউন্ডই লিগ শিরোপার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ১২ এপ্রিল বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় শীর্ষে থাকা মোহামেডান অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক কিংসের বিপক্ষে। ২৬ এপ্রিল কুমিল্লা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আবাহনী ও মোহামেডান লিগের ১২তম ম্যাচ খেলবে। ২ মে কিংস অ্যারিনায় কিংস ও আবাহনী ১৩তম রাউন্ডে মুখোমুখি হবে। এ তিন মহাগুরুত্বপূর্ণ খেলার ওপর তিন দলেরই শিরোপা নির্ভর করছে অনেকটা। তবে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে লিগ বন্ধ থাকায় উত্তাপ কতটা থাকবে তা-ও দেখার। আসা যাক গতকালের ম্যাচে। প্রথম লেগে বসুন্ধরা কিংস ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীকে। ময়মনসিংহ রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগে জিতল ২-০ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাসে কিংসের জার্সিতে বাংলায় খেলোয়াড়দের নাম লেখা ছিল। এমন উদ্যোগ তারা আগেও নিয়েছিল। যাক, প্রথম গোল পেতে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের অপেক্ষা করতে হয় ২০ মিনিট। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে তারা এগিয়ে যায়। ৮ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিগেল ফিগেইরা।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ দুর্বল ফকিরেরপুল হলেও ঢাকা আবাহনী কিছুটা চিন্তিত ছিল। কেননা একই ভেন্যুতে মোহামেডান হেরে গিয়েছিল ফকিরেরপুলের কাছে। আবাহনীর কাছে তারা পাত্তাই পায়নি। ১-৬ গোলে হেরে ইয়ংমেন্স মাঠ ছেড়েছে। অথচ প্রথম লেগে ব্যবধান ছিল ২-০। আবাহনী ম্যানেজমেন্ট নানা কারণে মানসিক চাপে থাকলেও স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলটি ভালোই খেলছে। দ্বিতীয় লেগের শুরুতে আরও অপ্রতিরোধ্য মনে হলো। ১৫ মিনিটে পিছিয়ে পড়েও হৃদয়দের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে পরে প্রতিপক্ষ সুবিধাই করতে পারেনি। এনামুল ২ এবং হৃদয়, ইব্রাহিম, জাফর ইকবাল ও মিরাজুল ১টি করে গোল করেন। ইয়ংমেন্সের গোলটি করেন সাইম।