খেলাধুলায় প্রথম একুশে পদক মিলল। আর তা দলীয়ভাবে পেয়েছেন দেশের নারী জাতীয় দলের ফুটবলাররা। ২০২২ ও ২০২৪ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুবার শিরোপা জিতে তারা দেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সেই সাফল্যের স্বীকৃতিও মিলেছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার নারী জাতীয় দলের ফুটবলারদের হাতে উঠেছে। এই প্রথম খেলাধুলায় একুশে পদক দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন সাবিনা খাতুন, মারিয়া, সানজিদা, মাসুরা ও সুমাইয়ারা। গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে দলের পক্ষে মর্যাদাকর এ পুরস্কার গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। এ সময়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সর্বশেষ সাফজয়ী নারী দলের অন্য ফুটবলাররা।
যেহেতু দলীয় পুরস্কার একক কোনো খেলোয়াড়ের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। প্রথমে পদকের জন্য নারী ফুটবল দলের ১১ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোন ১১ জনকে বাছাই করবে এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল বাফুফে। পরে ফেডারেশন ৩২ জনকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে। শেষ পর্যন্ত ২৩ ফুটবলার পাশাপাশি কোচ, কর্মকর্তাসহ আরও ৯ জনকে আমন্ত্রণ জানায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। গত বছর অক্টোবরে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সেই দলে ছিলেন রূপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফার ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা।
এর আগে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। একুশে পদক পেয়ে গর্বিত নারী ফুটবলাররা। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের একুশে পদক দেওয়ার জন্য। যা আমাদের আরও ভালো খেলতে উৎসাহ জোগাবে।’