নিউইয়র্কস্থ ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলামকে এনআইডি কার্ড প্রদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো ৩ অক্টোবর। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্স্যুলেট অফিসে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সার্বিক সমন্বয়ে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার অনেক পুরনো একটি প্রত্যাশার বাস্তবায়ন ঘটলো এবং এনআইডি কার্ডধারীরা প্রবাসে থেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে এ সময় জানানো হয়। প্রবাসে থেকে প্রাপ্ত এনআইডি কার্ডধারীরা ভোটের সময় বাংলাদেশে থাকলেও ভোট দিতে পারবেন না কিংবা নির্বাচনে প্রার্থী হবার সুযোগও পাবেন না বলে জানান আখতার আহমেদ। তারা শুধুমাত্র ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আরো জানান, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী এবং আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারি ১৮ বছরের অধিক বয়সী (২০০৮ সালের ১ জানুয়ারির আগে জন্মগ্রহণকারি) সন্তানেরাও পাবেন এনআইডি (ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড)। আবেদনের সময় জন্মগত সার্টিফিকেটের (১৭ ডিজিট ক্রমিকের) কপি অথবা নম্বর এবং বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি। এই পাসপোর্টের নাম, জন্ম তারিখ এবং বার্থ সার্টিফিকেটের নাম ও জন্মতারিখে গড়মিল হলে চলবে না। ইতিমধ্যেই যারা বাংলাদেশে আবেদন করেছেন তারা এখান থেকে আর কোন সুযোগ পাবেন না অর্থাৎ তাদেরকে নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই। কারণ, নিউইয়র্ক থেকে শুধুমাত্র নয়া এনআইডি কার্ড ইস্যু করা হবে।
শীঘ্রই ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, লসএঞ্জেলেস কন্স্যুলেট থেকেও এনআইডি ইস্যু করা হবে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মোজাম্মেল হক, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মোস্তফা হাসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আবদুর রউফ মন্ডলসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট এবং জিল্লুর রহমান জিল্লু ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসাকালে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত সোয়া কোটি প্রবাসীর মধ্যে ৫০ লাখের অধিকই ভোটার হবার যোগ্য। এই বিরাটসংখ্যক বাংলাদেশি যাতে প্রবাসে থেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন-তেমন দাবি বেশ ক’বছর আগে সর্বপ্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উত্থাপন করেছিলেন। স্বৈরাচারের পতনের মধ্যদিয়ে তারেক রহমানের দাবিটিরও বাস্তবায়ন ঘটলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরও ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, জেবিবিএর নেতা কামরুজ্জামান কামরু, সন্দ্বীপ সোসাইটির সভাপতি ও ফোবানার সেক্রেটারি ফিরোজ আহমেদ, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী আজম, বিএনপি নেতা এম এ সবুর, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের নেতা জাহাঙ্গির আলম, স্টেট বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক আনিসুর রহমান, দেওয়ান কাউসার প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন