রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৫০) হত্যা মামলায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তারা হলেন হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী মো. মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেল (৩০) ও মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন (৩৫)। র্যাব বলছে, পল্লবীর রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড। যা সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডও জড়িত থাকতে পারে।
এ ছাড়াও চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিতে সাপোর্ট না দেওয়া এবং বিগত সময়ে কিবরিয়ার সঙ্গে যাদের সখ্য ছিল রাজনৈতিক মেরূকরণের পর তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছিলেন তিনি। এসব কারণেই কিবরিয়া হত্যার শিকার হয়েছেন। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় পল্লবীর একটি দোকানে প্রকাশ্যে বুকে ও পিঠে অতর্কিত গুলি করে কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। পরে মঙ্গলবার রাতে সাভারের বিরুলিয়া এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী পাতা সোহেল এবং টঙ্গীর মাজার বস্তি এলাকা থেকে ১৮টি মামলার আসামি সন্ত্রাসী সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাতা সোহেলের নামে একাধিক হত্যা, ডাকাতি, মাদকসহ পল্লবী থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন মিরপুর-কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ফোর স্টার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, নিহত কিবরিয়া মিরপুর এলাকায় রাজনৈতিকভাবে খুব সক্রিয় ছিলেন। চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারে তার সাপোর্ট ছিল না। হয়তো এ কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, পাতা সোহেল কিলিং মিশনের টাকা সরবরাহ করেছিলেন। তবে তিনি কীভাবে অর্থ পেয়েছেন কিংবা কার কাছ থেকে পেয়েছেন সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। উল্লেখ্য, কিবরিয়াকে গুলি করে পালানোর সময় জনি ভূইয়া নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে ঘটনার পরপরই পুলিশে দিয়েছিল জনতা।