পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। গতকাল চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টিজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কাজ করবে। এর জন্য শিগগিরই রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। বিমান সংযোগ না থাকলে এটি সম্ভব নয়। তবে এ বছরের শেষ নাগাদ সরাসরি দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা এ দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে অত্যন্ত আগ্রহী। ব্যবসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন সম্ভাবনা চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং আরও প্রতিনিধিদল সফর করবেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানি ভিসা সহজীকরণের ব্যবস্থা হয়েছে।
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানো গেলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দুই দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও পাকিস্তান থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি মাত্র ৫৮ মিলিয়ন ডলার। তবে সাফটা এবং ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করার পাশাপাশি উভয় দেশের মধ্যে নন ট্যারিফ বাধাগুলো হ্রাস করা, বিটুবি সংযোগ উৎসাহিত করার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণ সম্ভব। প্রচলিত পোশাক শিল্পের বাইরে ফার্মাসিউটিক্যাল ও হেলথকেয়ার প্রোডাক্ট, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি ও ডিজিটাল সেবা, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও শিপবিল্ডিং, এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা দুই দেশের নিজস্ব পণ্য নিয়ে এক্সিবিশন ও ট্রেড শো আয়োজন, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও বিভিন্ন এক্সেসরিজ আমদানিসহ শিক্ষা ও বিভিন্ন শিল্প খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আহ্বান জানান।