সুদানের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশেরে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বাহিনী। হামলায় ৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি (এএ) তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, শনিবার এক বিবৃতিতে স্থানীয় একটি ত্রাণ কমিটি এই তথ্য জানায় এবং হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-কে অভিযুক্ত করে।
এল-ফাশের রেজিস্ট্যান্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি জানায়, দার আল-আরকাম আশ্রয়কেন্দ্রে দুটি ড্রোন ও আটটির বেশি অগ্নিবোমা হামলার ফলে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “দার আল-আরকাম স্কুলকে লক্ষ্য করে দুটি ড্রোন ও একাধিক অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে নিহতদের দেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে—যে দৃশ্য বর্ণনাতীত।”
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আরএসএফ কোনো মন্তব্য জানায়নি।
কমিটি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “যেসব সাধারণ মানুষ নিরাপত্তার আশ্রয় খুঁজছিলেন, তারা সেখানে জ্বলন্ত মৃত্যুর মুখে পড়েছেন।”
আগের এক বিবৃতিতে কমিটি জানায়, নিহতদের মধ্যে অনেকের দেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। অন্যরা আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরেই পুড়ে মারা গেছেন, যাদের মধ্যে নারী, শিশু ও প্রবীণরাও রয়েছেন।
সুদানের ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশু ও ২২ নারী রয়েছেন। এছাড়া ২১ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে আরএসএফ বাহিনী এল-ফাশের নগরী অবরোধ করে রেখেছে—যদিও আন্তর্জাতিক মহল বারবার এই অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শহরটি পাঁচ দারফুর অঙ্গরাজ্যের মানবিক কার্যক্রমের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ বাহিনীর সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২০,০০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক যৌথ গবেষণায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বলে ধারণা করা হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু
বিডি প্রতিদিন/নাজিম